রিভিউ

A LETTER TO A CHILD NEVER BORN

Jun 13, 2013

“ অবিচার কাকে বলে পৃথিবে তুমি তার ধারনা অবশ্যই পাবে,পেতে বাদ্ধ্য হবে,
অনেকের অনেক কিছু আছে,আর অনেকের কিছুই নেই ,
এ দুই শ্রেনির মানুষেরা এ পৃথিবিতে বাস করে,
এ জন্য একজন মহিলা থাকে আয়েশে,
আরেকজন প্রচন্ড সমস্যা থাকা সত্তেও ওই মহিলার কার্পেট পরিস্কার করে,
আমি জানিনা এটা কিভাবে দূর করা সম্ভব।
এমনকি তুমি প্রকৃতির ঋতুকেও ২ ভাগে ভাগ হতে দেখবে,
শীত হল ধনীদের ঋতু,
আর যদি তুমি ধনী হও,তাহলে গরম কাপড় পাবে পরবার,
আর গরিব হলে অভিশাপ,
স্বাধীনতার সাম্য কেবল তুমি যেখানে আছো,কেবল সেখানেই পাবে ।“



আমার এক ছোট বোন এই চমৎকার বইটি পড়তে দেয় প্রায় বছর খানেক আগে,
কিছুদিন আগে দ্বিতীয় বারের মত বইটি পড়ি এবং ভাবি চমতকার ।
বেসম্ভব সুন্দর ।

"এ লেটার টু এ চাইল্ড নেভার বর্ন " বইটি ওরিয়ানা ফালাচ্চির একটি বিখ্যাত বই ।

জন্ম নেয়ার অপেক্ষায় থাকা একটি শিশুর সাথে তার মায়ের দিনপঞ্জির ছলে এ হ্রসকায় বইটিতে সমাজে বেচে থাকতে হলে যা যা করতে হয় তার সবটুকুই চমতকার ভাবে বলা হয়েছে । গল্পের মুল চরিত্ত একজন সদ্য কুড়ি পার হওয়া নারী,যে তার সন্তানের আগমনের সম্ভাবনা টের পেয়ে তাকে চিঠি লিখা আরম্ভ করে ।

লেখিকা উত্তম চরিত্ত রুপে চিঠি লিখেছে সমস্ত গল্পে,ততকালিন ইউরোপ সমাজের লাঞ্চনা গঞ্জনা হুবুহুর বর্ণনা তিনি লিখেছেন তার শিশুটির উদ্দেশে । চিঠি লেখিকার জন্ম হয় সমাজের নিচুতলাতে যেখানে শিশ্ন এবং যোনীর মিলনই একমাত্র বিনোদন । দিন আনি দিন খাই পরিবারে জন্ম হয় লেখিকার,বাবা কাজে গেলে সংসারে খাবার আসে,বাসাতে থাকলে অভুক্ত থাকতে হয় এমন পরিবারে তার জন্ম,ফলে গর্ভে সন্তান নিয়ে মাকে কাজে যেতে হয়,এমনই এক পরিবারে লেখিকার জন্ম,লেখিকার মা লেখিকার জন্ম হোক চাননি,তাই তিনি রাতে নানা ধরনের ঔষধ খেতেন রাতে,গুম্রে গুম্রে কাদতেন। এগুলা লেখিকার জানা,তাই তিনি লিখেছেন,
‘আমার জন্ম ব্যাথার মদ্ধ্যে, ব্যাথা নিয়ে বেড়ে উঠি আমি।‘

লেখিকার প্রেমিক লেখিকার বিবাহ বহিরভুর্ত সন্তানের দায়িত্ত নিবেনা এটা লেখিকা জানে,তবুও এই জীবনকে তিনি পৃথিবিতে আনতে চান,লেখিকা জানেন তার ভবিসৎ অত্তন্ত কঠিন হবে তবূও লেখিকা পিছিয়ে যাননি । এমনকি সে এই যুদ্ধ ক্ষেত্রের জন্য সন্তান হিসেবে প্রত্যাশা করে একটা মেয়েকে, তিনি তাকে একজন জীবন যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে চান, ছেলে হলেও লেখিকার আপত্তি নেয়,তার চিঠিতে বলেন,

“নানা সুবিধা পাওয়া সত্তেও তাকে যুদ্ধে যেতে হবে,কারন হয় তাকে আরেকজন কে হত্যা করতে হবে নতুবা আরেকজনই তাকে হত্যা  করে ফেলবে ।তার দুঃখে কেঊ তার কাছে এগিয়ে আসবেনা বরং তার কস্টে মানুষ হাসবে মুখ টিপেটিপে । ”

এরকম সমাজের নানা চরিত্তের মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে লেখিকা তার চিথি এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন,এরই মাঝে একদিন লেখিকা হাসপাতালে যায়,ডাক্তার নার্সের রুড় বাবহার লেখিকার চোখ এড়ায়নি,তাই তিনি তার সন্তানকে চিঠিতে লিখেন,

“তারা যেন একটা দুষিত কাজ করছেন,
যেহেতু আমি বিবাহিত নয় তিনি তোমাকে মেরে ফেলতে চান,
শেষে আংগুল বের করে এনে থান্ডা ভাবে বললেন
“সব ঠিক আছে,কোন অসুবিধা নাই ।”


মানব জীবনে টাকার প্রয়োজনিয়তা বুঝাতে লেখিকা বলেন,

“খাওয়ার জন্য টাকা লাগবে,ঘুমাবার জন্য টাকা লাগবে ।এক জোড়া জুতার জন্য টাকা লাগবে,
এবং তার জন্য তোমাকে কাজ করতে হবে,
তারা কাজ সম্পর্কে অনেক কিছু বলবে,

শ্রমের মর্যাদার । ওদের এসব কথা তুমি বিশাস করবে না,
ওরা মিত্থুক তোমাকে নিজের প্রয়োজনে কাজ করতে হবে । ”



এর মাঝেই লেখিকার প্রেমিকের সাথে লেখিকার কথা হয়,লেখিকার প্রেমিক এবর্সন করাতে বললে লেখিকা ধিক্কার দিয়ে ফোন রেখে দেয় ।
চিঠিতে নায়িকা সন্তানকে ছোট বেলার গল্পের মাঝে সমাজে নারীরা সর্বদা প্রথম আক্রমনের শিকার হয় এবং ঘুনে ধরা প্রিস্টের এবং স্কুলের শিক্ষার বর্ণনা দেন,তার বাবার মিলিটারি চাকরির মাদ্ধমে ততকালিন ইতালির যুদ্ধের বর্ণনা দেন,এভাবেই চিঠি এগুতে থাকে,এরি মাঝে হতাত করে লেখিকার প্রেমিক তার বাড়িতে আসে,

চুপি চুপি সন্ধার আড়ালে চোরের মত,
লেখিকা তার সন্তানকে বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন,

“ডিমের মদ্ধে যার আলো গিয়ে তোমার জন্ম হয়েছে এ লোকটি সে |
যে নিউক্লিয়াসের মাদ্ধমে তোমার যাত্রা শুরু তার অর্ধেকটা তার ।”



এভাবে গল্প এগুতে থাকে,তবে প্রকৃতি বড় অদ্ভুত,নিয়তির বেড়াজালে বাধা এই প্রকৃতি কখন কি মনবাসনা পুরন করতে চাই তা বলা দুশকর,তাই হাসপাতালের বিছানাতে শুয়ে বারবার তার সন্তান কে হাত বাড়ানোর উনুরধ করা সত্তেও তার সন্তান হাত বাড়ায় না,লেখিকা তার সন্তানের হাত ধরতে পারেনা ।
এবং সন্তানের পিছু পিছু লেখিকাও ছুটে চলতে থাকে অজানার পথে ।

“আর আমাদের এখানে প্রয়োজন নেই। তুমি মরে গেছ,আমিও বধয় মরে যাচ্ছি,কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না,জিবন ধারাবাহিক,জিবনের কখনো মৃত্তু আসে না ।”


মুখবন্ধ-এ লেটার টু এ চাইল্ড নেভার বর্ন বইটির ইংলিশ উনুবাদ করেছেন জন শিপলি এবং বাংলায় আনু মুহাম্মাদ ।